ইউক্রেনকে এবার গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভরোদিমির জেলেনস্কির সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। গত শুক্রবার তাকে হোয়াইট হাউস থেকে অনেকটা ঘাড় ধরে বের করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জেলেনস্কির একগুঁয়েমির কারণে এর পর গত সোমবার ইউক্রেনকে সব ধরণের সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়াও বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। খবর কিয়েভ ইনডিপেন্ডেন্টের।

বুধবার থেকে ইউক্রেনকে সব ধরণের গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে রুশ বাহিনীর ওপর হামলার ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তা বুধবার (৫ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে তাদের সেনা ও সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাতে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ইউক্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মিত্র দেশগুলোকেও ইউক্রেনকে নিজেদের গোয়েন্দা তথ্য প্রদান বন্ধ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে হয়ত সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করবে।

কিন্তু এটি গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক সময়ের গোয়েন্দা তথ্যের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। অর্থাৎ রুশ বাহিনীর চলাচলের কোনো তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইউক্রেন আর পাবে না।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে।

এরআগেও জেলেনস্কিকে স্বৈরাচার হিসেবে অভিহিত করে সম্পর্ক খারাপ করেছিলেন ট্রাম্প। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দুজনের মধ্যে সরাসরি বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

তবে গত মঙ্গলবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন জেলেনস্কি। সেখানে ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করার ঘোষণা দেন তিনি। তার ওই পোস্টে সুর নরমের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

এছাড়া ট্রাম্পের কাছে চিঠিও পাঠান জেলেনস্কি। এতে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে খনিজ চুক্তি করতে রাজি আছেন তিনি। এই চুক্তি হলে ইউক্রেনের বিরল খনিজ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও বিক্রি করে লাভ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্পের পর মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগের প্রধান ইলন মাস্কও একহাত নিয়েছেন জেলেনস্কিকে। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে জেলেনস্কিকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

এতে মাস্ক আরও বলেন, ইউক্রেনে গণতন্ত্র এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি নিরপেক্ষ দেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া উচিৎ জেলেনস্কির।

জেলেনস্কির স্বৈরাচারী আচরণের জন্য ইউক্রেনসহ গোটা বিশ্বের মানুষ কষ্টে আছে বলে উল্লেখ করেন ইলন মাস্ক।

নিউজটি ফেসবুকে শেয়ার করুন ...
fb-share-icon





সম্পর্কিত সংবাদ

  • ফিলিস্তিনি সংকটের সমাধান ছাড়া শান্তি অসম্ভব: সিসি
  • গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ধর্মঘটের ডাক
  • ইরান-ইউরেশিয়ার বাণিজ্য বেড়েছে দ্বিগুণ
  • ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫৪
  • দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল পদচ্যুত
  • ইসরায়েলের উন্মত্ততা, আশ্রয় কেন্দ্রে হামলায় ২৯ নিহত, আহত শতাধিক
  • মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা জান্তার
  • অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট!
  • Copy link
    URL has been copied successfully!