বন্যায় ৫১ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধকোটির বেশি মানুষ

দেশে চলমান বন্যায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান তিনি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু। কুমিল্লায় ১৪ জন, ফেনীতে ১৭, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৮, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ ও কক্সবাজারে ৩ জন, মৌলভীবাজারের ১ জন মারা গেছেন। এছাড়াও মৌলভীবাজারে ১ ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, আক্রান্ত ১১ জেলার ৬৮টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভা ৪৯২টি। ১১ জেলায় মোট ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট ৫ লাখ ২ হাজার ৫০১ ব্যক্তি ও ৩৬ হাজার ৪৪৮ গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সিলেট জেলার বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৫৯৫টি মেডিকেল টিম সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ বরাদ্দ ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সংগৃহীত মোট ১ লাখ ৪ হাজার ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিডিএম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
সম্পর্কিত সংবাদ

ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি সামনে রেখে শেষ হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে পালিত হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দবিস্তারিত…

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি থেকে এলো যে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
শনিবার (১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মার্চ ফর গাজা গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণাপত্র পাঠ করে আমারবিস্তারিত…